প্রতিনিধি ৩১ আগস্ট ২০২৫ , ৮:৫৭:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি:
পটুয়াখালীর বাউফলে কমিউিনিট হেলথ কেয়ার প্রোবাইটরকে (সিএসসিপি) শারীরিক লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে। গত২৪ আগষ্ট উপজেলার কর্পূরকাঠী কমিউনিটি ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার (৩১ আগস্ট) তিন সদস্যের কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ আগস্ট সালমা বেগম (সিএসসিপি) এর কালাইয়া ইউনিয়নের কর্পূরকাঠী কমিউনিটিতে যেতে বিলম্ব হয়। ওই ঘটনায় সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোসা. আইনুন নাহার কমিউনিটি ক্লিনিকে তাকে না পাওয়ায় মোবাইলে গালমন্দ করেন। সকাল পৌনে ১০টায় সালমা গাজী ক্লিনিকে এসে দেখেন তালাবদ্ধ এবং ক্লিনিকের অফিস সহায়ক (আয়া) দরজার সামনে দাড়িয়ে আছেন। পরে সালমা গাজী তার চাবি দিয়ে ক্লিনিক খুলেন। এরপরই সহকারী স্বাস্থ্য পরির্দশক আইনুন নাহার সেবা নিতে আসা লোকজনের সম্মুখে সালমা গাজীকে মোবাইল ফোন দিয়ে একাধিকবার আঘাত করেন। এতে সালমা গাজী আঘাতপ্রাপ্ত হন। বিষয়টি নিয়ে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক মাসুমা বেগমকে লিখিতভাবে অবিহিত করেন এবং সেখানে উল্লেখ করেন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক আইনুন নাহার সুপারভিশনের নামে আমাকে হয়রানী করেন। এ ঘটনায় একাধিকবার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তারা তাকে সংশোধন হতে বলেন। কিন্তু সংশোধনের পরিবর্তে তিনি অশোভনীয় আচরণ সহ আমাকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন।
অভিযুক্ত স্বাস্থ্য পরিদর্শক আইনুন নাহার বলেন, সালমা গাজী কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রতিদিন বিলম্ব করে আসেন। আমি সেটা জানতে চাইলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ইনচার্জ মাসুমা বেগমকে অবহিত করেন। আমি তার গায়ে কোন হাত দেইনি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুর রউফ বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তিন সদস্যের কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। সেখান ডাক্তার ফাতেমা (আরএমও), ডাক্তার নুরজাহান (এমওডিসি) ও মেডিকেল অফিসার তাসরিফকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা সাক্ষাৎকার নেওয়ার পরে পর্যালোচনা শেষে রিপোর্ট দিবে। তদন্ত রিপোর্ট দেখে পদস্থ কর্মকর্তার ব্যবস্থা নিবে।
Design & Developed by BD IT HOST